Pages

Saturday, August 20, 2011

জোতিষ বিজ্ঞানে গ্রহের ভূমিকা


মানুষের গুহা জীবন হতে আধুনিক কম্পিউটার যুগ পর্যন্ত (From cave life to modern computer age) বিজ্ঞানের নব নব আবিস্কারের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয়েছে। অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও জীবনের আগমন ও প্রবাহ যেমন থেমে নেই, ঠিক তেমনি সভ্যতার বর্তমান পর্যায়ে জ্ঞানের আপরাপর শাখার মত জ্যোতিষ বিজ্ঞান চর্চা, অনুশীলন এবং গবেষণাও থেমে নেই। সমগ্র বিশ্ব জগতে শ্রেষ্ট চিন্তাশীল বিবেকবান ও প্রজ্ঞাবান
জীব হিসেবে মানুষের অবস্থান শীর্ষে। তাই এই অসীম মহা বিশ্বে মানুষের অবসথান, তার স্বাধীন বিচরণশীল মনোবৃত্তি ও পারিপার্শ্বিক পরিসি’তি ইত্যাদির প্রেক্ষিতে সর্বকালে সর্বযুগে একদল নিবেদিত প্রাণ মানুষ নিজস্ব চিন্তা -চেতনা প্রসারিত করেছেন তাঁরাই হলেন জ্যোতিষী(Astrologer)
অতি সুপ্রাচীন কাল হতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অধিকাংশ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি, পন্ডিত, গণিতজ্ঞ, দার্শনিক ও বিজ্ঞানী প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ, দেশ জাতি বা সমপ্রদায়ের উপর অদৃষ্টের প্রভাব আবিস্কার করতে গিয়ে আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র গুলোকে নির্বাক বিষ্ফরিত দৃষ্টি ও অনুসন্ধিৎসু মন দিয়ে অবলোকন করতে শুরু করেন। এরই ফলে এক পর্যায়ে তত্ত্ব ও তথ্যের অনন্যতার কারনে রাশিচক্রের (Zodiac) বিভিন্ন স্থানে সৌর মন্ডরের গ্রহ-নক্ষত্রাদির অবস্থানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব যে রয়েছে এ ব্যাপারে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পন্ডিত জ্ঞানী ও শিক্ষিত সম্প্রায়ের মধ্যে কোন দ্বিমতের অবকাশ নেই। এ কথা আজ পরিস্কার যে, গ্রহ গুলোর প্রভাব শুধু স্থান কালের উপরই বিরাজমান নয়; এর প্রভাব ব্যক্তি মানসের উপরও শুধু ক্রিয়াশীল নয়, মানব শরীরের গ্রন্থী(Gland) গুলোর উপরও এর সুস্পষ্ট প্রভাব বিরাজমান। এটাও সত্যি যে মানুষ জন্ম সময়ে এক একটা নক্ষত্রের অধীন হয়ে জন্মায়।
শুধু তাই নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy) মতে হিসাব করে যেমন গ্রহদের অবস্থান, দূরত্ব-গতিবিধি, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ প্রভৃতির সঠিক হিসাব নির্ণয় করা যায়, তেমনি জ্যোতিষবিজ্ঞান(Astrology) মতে জীবন প্রবাহের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা প্রবাহের ইঙ্গীত, আমাদের জীবনের কোথায় সমস্যা, কোন সময়ে কিসের দ্বারা উন্নতি বা কর্মপথ কি, পরিবেশ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রাষ্ট্রীয় অবস্থা, ব্যবসা, চাকুরী, রোগ-ভোগ, স্বাস্থ্য, আর্থিক উন্নতি বা অর্থক্ষতি ইত্যাদি বিষয় নির্ণয় করাও সম্ভব। আজ আর কারো আজানা নয় যে, চন্দ্রের (Moon) কারণে সমুদ্রে ও নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) মতে পৃথিবীর পানির উপর চন্দ্রের প্রভাব ক্রিয়াশীল, হাজার বছর আগে থেকে জানা থাকেলেও একথার সত্যতা প্রমাণিত হয় ১৬৮৭ খৃষ্টাব্দে বিজ্ঞানী নিউটনের মাধ্যমে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র (Astrology) ও জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy) ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পথে যে সিদ্ধান্ত আসে তা অভিন্ন।
অসীত কুমার চক্রবর্ত্তীর ‘জ্যোতিষ বিজ্ঞান কথা’ গ্রন্থে জানা যায়- বহু বিজ্ঞানী চাঁদের প্রভাব সম্পর্কে জ্যোতিষ শাস্ত্রের বক্তব্য সমর্থন করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ এর মধ্যে কয়েকজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী গবেষণা মাধ্যমে সিদ্ধান্থে আসেন, পূর্ণচন্দ্র শুধুমাত্র মানুষের আবেগ বা চঞ্চলতাই বৃদ্ধি করে না, মানুয়ের অপরাধ প্রবণতাকেও জাগিয়ে দেয়। তাঁদের আরও বক্তব্য যে, এ সময়ে চাঁদের আলো এবং আকর্ষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির অবনতি, বিভিন্ন প্রকার রোগ, হত্যা এবং আত্বহত্যা করার মানসিকতার সহায়ক হয়ে উঠে। ১৯৬৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ফরেনসিক সায়েন্স – ভেষজ বিজ্ঞান, রোগনিদান তত্ত্ব ও বিষ বিজ্ঞান সম্বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে পৃথিরীর খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা অংশ গ্রহণ করেন। সেখানে ম্যাসাচুসেটস্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডঃ জ্যানিনো একটি গবেষণা পত্র উপস্থাপিত করে বলেন, সাহিত্য এবং প্রাচীন জনশ্রুতিতে চাঁদের প্রভাবে মানুষের সামাজিক মতিভ্রম বা উম্মত্ততা-কুসংস্কার বা উদ্ভট কল্পনা নয়, সত্যই চাঁদ মানুষকে প্রভাবিত করে। ডঃ জ্যানিনো চাঁদের প্রভাব সম্বন্ধে বহু যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যের উপসংহারে বলেন, শারীর বৃত্তীয় পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় মানুষের দেহের তড়িৎ বিভব বৃদ্ধি পায়।
ল্যাটিন ভাষায় চাঁদকে লুনা বলে। এই লুনাই উন্মাদনা সৃষ্টির কারক বলে উন্মাদ কথার ইংরেজী লুনাটিক শব্দের উৎপত্তি মহাকবি মিল্টন তার ‘প্যারাডাইস লষ্ট’ মহাকাব্যে মানুয়ের মস্তিষ্কের সঙ্গে চাঁদের সংযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।একথা আজ পরিস্কার, চন্দ্রের প্রভাব ব্যক্তি বিশেষ ছাড়াও অঞ্চল বিশেষেও ক্রিয়াশীল। যা হোক চন্দ্রই যে মানুয়ের দেহস’ তরল পদার্থ এবং মনকে পরিচালিত করে তা পরিস্কার বলা আছে জ্যোতিষ শাস্ত্রে। এই শাস্ত্রের মতে কোন মানুষের মন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়ার জন্য চন্দ্রের পূর্ণতা, বলবত্তা এবং শুভ স্থানে অবস্থান আবশ্যক। চন্দ্রের বলবত্তা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে মানুস বল হ্রাস পাওয়ার সম্পর্ক সমানুপাতিক।


উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, যদি কোন জাতকের জন্ম সময়ে চন্দ্র নীচস্থ স্থানে, ক্ষীণ অবস্থায়, শনি, মঙ্গল, বা রাহুর সঙ্গে অবস্থান করে তা হলে সেই জাতকের মানসিক অসি’রতা, রোগজনিত উৎকণ্ঠা, আবেগ, অহেতুক ভয়, হিষ্টিরিয়া, অবসাদ, আতঙ্ক ইত্যাদির শিকার হয়ে সাইকোনিউরোসিস নামক মানসিক ব্যধিযুক্ত বলে পরিচিত হয়। এমন অবস্থায় জাতকের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী। আর জন্ম সময়ে বলবান চদ্রের জাতক ব্যক্তি তেজস্বী, দীর্ঘায়ূ ধার্মিক ও সুন্দর চক্ষু বিশিষ্ট হয়। চন্দ্র বৃষ বা কর্কট রাশিতে অবস্থানে জাতক/জাতিকা ধনী, সদাহাস্যময় ও জনপ্রিয় হয়ে থাকে। শুভ চন্দ্রের জাতক জাতিকা সুন্দর স্বাস্থ্য, স্নেহ মমতা, প্রেম, দাম্পত্য জীবনে সুখ, সঙ্গীত, শিল্পকলা, পানির সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসা, পুস্তক, প্রকাশনা, লেখা, বুদ্ধিবৃত্তি ও অধ্যাপনা ইত্যাদি বিষয়ে সাফল্য লাভ করেন।
বর্তমানে বৈজ্ঞানিকগণ বলছেন যে চন্দ্রের রাশিচক্রাবর্তনের সংযোগ জলজ জীবজন্তু এবং মৎস্যাদির পর্যন্ত ঋতুর আবর্তন হয়ে থাকে। ঐ সকল জীবজন্তু ও মৎস্যাদির ষড়ঋতুভেদে ডিম্ব উৎপাদনের ঋতুকাল উপস্থিত হয়। এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ঐ. 
H. Murnofox কে Science and progress পুস্তকে Lunar Periodicity in Reproduction প্রবন্ধে বিস্তারিত বর্ণনাও করেছেন। যা হোক-
চন্দ্রের আবর্তন সময় প্রায় ২৮ দিন। নারীর ঋতুকাল ২৮ দিনের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বলে জ্যোতিষ শাস্ত্রের মত। এ মতবাদের সমর্থনে বিবর্তনবাদের স্রষ্টা ডারউইন বলেছেন- 
“Man is descended from fish ….. Why should not the 28 day feminine cycle be a vestige of the past when life depended on the tides, and therefore the moon?”
দেহস্থ তরল রক্তের উপর চন্দ্রের প্রভাব, নারীর ঋতুকালের আবর্তন, রক্তের গুণাগুণ ইত্যাদি ছাড়াও আমাদের দেহের তরল রসকেও চন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে। মানুয়ের জন্ম সময়ে চন্দ্রের অবস্থান এবং তার শুভাশুভ বিবেচনা করেই শারীরিক ও মানসিক শুভাশুভ নির্ণয় করা হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে রক্তের ক্রটিহীনতা এবং সুস্থ্য, সবল মানসিকতার জন্য চন্দ্রের বলবত্তা এবং শুভত্ব অপরিহার্য। গ্রহের প্রতিফলিত রশ্মি পরিমান ও পরিমাপ যোগ্য। গ্রহের রশ্মির পরিমাণ নির্দ্ধারণের প্রতিক্রিয়ও সম্পূর্ণবিজ্ঞান ভিত্তিক। জ্যেতিষ বিজ্ঞান কথা গ্রনে’ আরো জানা যায় যে, চেকোশ্লোভাকিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে আধুনিক যন্ত্রগণক, গাইনোকোলজিষ্ট, ফিসিসাইষ্ট্রিস প্রভৃতি নিয়ে একটা বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগের নাম “এ্যাষ্ট্রো রিসার্চ সেন্টার”। এ্যাষ্ট্রো রিসার্চ সেন্টারের মূখ্য কাজ হল বিভিন্ন জাতকের জন্ম সময়ে সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহদের অবস্থান নির্ণয় করে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে জন্ম নিয়ন্ত্রণের, গর্ভধারণের, এমন কি অস্ত্রোপচারের সঠিক সময় নির্ণয় করে দেওয়া। একই উপায়ে তাঁরা গর্ভধারণে ইচ্ছুক রমণীর গর্ভধারনের সময়, যাদের গর্ভনাশ হয়ে যায় তাদের জন্য সঠিক সময় নির্ণয়, এমনকি তাঁরা পুত্র বা কন্যা যা চাইবেন তারও সময় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ঐ এ্যাষ্ট্রোরিসার্চসেন্টারের আর একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী 
Eugen Jones তাঁরPredetermining of Sex of a child বইয়ে মত প্রকাশ করেছেন যে প্রতিটি নারীর ঋতুকাল চন্দ্রের দ্বারা প্রভাবিত এবং প্রতিটি জাতক জন্মকালীন বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানে প্রভাবিত। তিনি আরও জানান জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কোন নারী কখন গর্ভবতী হবেন বা হবেন না, তা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া সম্ভব। মূক, বধির পঙ্গু ইত্যাদি সন্তানের জন্মের জন্য গর্ভধারণ সময়ে অশুভ গ্রহের অবস্থানকেই তিনি একমাত্র কারণ বলে মনে করেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গর্ভধারণ ইত্যাদি প্রক্রিয়া চেকোশ্লোভাকিয়ার মত হাঙ্গেরীতেও প্রচলিত হয়েছে। সেখানে 
Budapest Obstetric Clinic-এর প্রধান অধিকর্তা জ্যোতিষশাস্ত্র মতে পরিবার পরিকল্পনার উপদেশ দিয়ে সম্পূর্ন ভাবে সফল হয়েছেন।
শুধু চন্দ্রই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সূর্য, শনি, বুধ, মঙ্গল, বৃহস্পতি, রাহু, কেতু ইউরেনাস, নেপচুন বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ভাবে মানবজীবন ও জীব জগতকে প্রভাবিত করে। আর গ্রহ নক্ষত্রের বিচার বিশ্লেষণের হিসাবের উপরেই জ্যোতিষশাস্ত্র প্রতিষ্ঠিত।
স্রষ্টা সর্বজ্ঞ; মানুষের ভাগ্য ও কর্ম এ’দুয়ের মধ্যে রয়েছে এক বন্ধন। মানুষের কিছুটা চালিত হয় কর্ম দিয়ে আর কিছু অংশ ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ যদি পার্থিব শক্তির হাতে কেবল একটা পুতুল হতো তা’হলে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে কিছু থাকতো না। মানুষের ইচ্ছা শক্তির ওপর কর্তব্য কর্মের ফলাফল নির্ভর করে।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে সৃষ্টি কর্তার বিধি নিয়মের শাসন কারক হলো গ্রহেরা। এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যায় যে, জ্ঞান সমুদ্র ইসলামের সর্বপ্রথম আমীরুল মোমেনীন হজরত আলী (রাঃ) খলিফা হিসাবে সর্বপ্রথম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি অধিক জোর দিয়েছিলেন। তাঁর অসংখ্য নীতিবাক্য ও দার্শনিক উক্তি বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তিনি একজন কবি হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। “আনওয়ারুল আকওয়াল” নামক তাঁর একটি দীওয়ান বা কাব্যগ্রনে’র কথাও কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে প্রচলিত অনার একটি কাব্য গ্রন্থ “দীওয়ানে আলী” আজও আরবী মাদ্রাসা সমূহে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে বিদ্যমান। আরবী ব্যাকরণসহ আরও বহু সূক্ষ্মজটিল শাস্ত্রের প্রবর্তক হিসাবে হজরত আলী (রাঃ) এর নাম সর্বজন স্বীকৃত। তাঁর আবিস্কৃত বা প্রবর্তিত বহু শাস্ত্র জ্ঞানের এক দীর্ঘ তালিকাও গবেষকগণ পেশ করেছেন। কেরাত, ফরায়েজ, কালাম, খেতাব, কেতাবত, স্বপ্নের তাবীর, নক্ষত্র বিদ্যা, তিব্ব কবিতা ও ছন্দ বিদ্যা, অংক প্রভৃতি শাস্ত্রে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী। বিশেষতঃ ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বক্ষেত্রেই তাঁকে মুসলমানদের ইমাম মানা হয়ে থাকে।
‘নাহাজুল বালাগাহ’ নামক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হজরত আলী (রাঃ) এর রচনা বলে প্রচলিত। ইংরেজীসহ বিভিন্ন ভাষায় এর অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থে হজরত আলী (রাঃ) জ্যোতিষশাস্ত্র সম্পর্কে বলেন- “হে মোমেন সব তোমরা জ্যোতিষশাস্ত্র ততটুকু শেখো, যতটুকু দ্বারা আত্মরক্ষা করা চলে।”
সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বা খোদার উপর খোদকারী নয়-প্রকৃত পক্ষে জ্যোতিষশাস্ত্র দ্বারা অপার মহিমা, জীবন পথের নির্দেশনা, জীবন দর্শনের গতিধারা, আধ্যাত্মিকতার সন্ধান, বাস্তব জীবনের রূপরেখা ও বর্তমান সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।
এর ভিত্তি হচ্ছে জন্মকালীন গ্রহ নক্ষত্র ও গ্রহদের অবস্থানের সঠিক হিসাব। সুহৃদ পাঠকবৃন্দ গ্রহরে প্রভাব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

No comments:

Post a Comment