মানবদেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই কেমন যেন নেচে উঠে। কারো কারো কাছে মনে হয় যেন দেহের অংশটা লাফাচ্ছে বা স্পন্দিত হচ্ছে। এই স্পন্দিত হওয়ার কিছু কারণ আছে শা্স্ত্রীয় মতে। আসুন জেনে নেই কি কি কারণে মানবদেহের কোন কোন স্থান স্পন্দিত হয়।
মানব দেহের বিভিন্ন অংশের স্পন্দনে (নৃত্যের ন্যায় অনুভূতি) শুভাশুভ ভিন্ন ভিন্ন ফল প্রদানের ইঙ্গিত বহন করে। নিম্নে শাস্ত্রোক্তমতে ইহার ফলাফল প্রদত্ত হইল:
মস্তক নৃত্য করিলে সম্মান লাভ হয়। দক্ষিণ দিকে স্পন্দনে সুখলাভ এবং বাম শির স্পন্দনে সুখ লাভ হয়।
ললাট স্পন্দনে ঐশ্বর্য লাভ।
দক্ষিণ চক্ষু স্পন্দনে অর্থ লাভ হয়। বাম চক্ষু স্পন্দনে ধনহানি বা রাজভয় অথবা কলহ হয়। দক্ষিণ চক্ষুর নীচেতে স্পন্দনে কষ্টদায়ক এবং চক্ষুর উর্ধ্ব স্পন্দনে সুখ হয়।
দক্ষিণ নাসা স্পন্দনে গাত্রপীড়া ও বাম নাসা স্পন্দনে মরন বার্তাবহ।
ওষ্ঠ ষ্পন্দনে মহৎ ভোজন লাভ ও অধর স্পন্দনে অকস্মাৎ বেদনা আক্রান্তের নির্দেশক।
জিহ্বা স্পন্দনে বস্ত্র লাভের ইঙ্গিত বহন করে।
তালু স্পন্দনে বহুতক লাভ কিন্তু কলহ নির্দেশক।
দক্ষিণ কর্ণ স্পন্দনে কুটুম্ব লাভ, বিদ্যালাভ ও স্ত্রীলাভ। বামকর্ণ স্পন্দনে শিরোবেদনা হয় ও উভয় কর্ণ স্পন্দনে অর্থলাভ ও সন্তোষ হয়।
দক্ষিণ স্কন্ধ স্পন্দনে অর্থলাভ ও বামস্কন্ধ স্পন্দনে অপমান, উভয় স্কন্ধ স্পন্দনে শিরচ্ছেদ হয়।
শির স্পন্দনে বস্ত্রলাভ ও সন্তোষ লাভ হয়।
দক্ষিণ ভুজ স্পন্দনে মহাবল ও বাম ভুজ স্পন্দনে কলহ হয়।
দক্ষিণ পদ স্পন্দনে দূর গমন ও বামপদ স্পন্দনে মহাসুখ।
উদর স্পন্দনে পুত্রোৎপত্তি ও অঙ্গ স্পন্দনে তিক্ত ভোজন হয়।
কটিদেশ স্পন্দনে আমাশয় রোগ ও কপাল স্পন্দনে রাজদ্বারে গমন হয়।
ভগ স্পন্দনে ঋণ, বক্ষ স্পন্দনে সর্বাঙ্গে বেদনা এবং পৃষ্ট স্পন্দনে শুল রোগ ইঙ্গিত বহন ও নাভি স্পন্দনে দুঃস্বপ্ন দর্শন হয়।
উরু স্পন্দনে সর্বত্র ভয় ও অলসযুক্ত হয়, গুহ্য স্পন্দনে শিরচ্ছেদ, কণ্ঠ স্পন্দনে জ্বরাতিসার রোগ, স্তন স্পন্দনে অর্থলাভ এবং কেশ স্পন্দনে ক্লেশ হয়। নিতম্ব স্পন্দনে গাত্র বেদনা হয়।
No comments:
Post a Comment